
সাইফুল ইসলাম বিপ্লবঃ বিশ্বায়নের যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ‘ফেসবুক’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।সামাজিকভাবে সকল স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুক সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে আলোচিত একটি নাম।পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কি ঘটছে তা অনায়াসেই জানা সম্ভব হয় ফেসবুকের মাধ্যমে।কোন আলোচিত ঘটনা নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অত্যন্ত আলোচিত ব্যক্তিত্ব ‘ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন’। নিজের মহৎ কর্মকাণ্ডের কল্যাণে ফেসবুকে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন ‘ব্যারিস্টার সুমন’। কিছুদিন পূর্বে করা এক জরিপে দেখা যায়,’বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন ব্যারিস্টার সুমন’।দেশজুড়ে অসংখ্য ভক্তসমাজ তৈরি হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা নানা অসঙ্গতিকে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরছেন ব্যারিস্টার সুমন।এজন্য তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি পেয়েছেন।তবুও থেমে নেই তাঁর পথচলা।
যখনই ‘ব্যারিস্টার সুমন’ কোন অসঙ্গতি নিয়ে লাইভে আসেন তখনই তা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।ফলে,তাঁর লাইভগুলো সহজেই সংশ্লিষ্ট অথোরিটির দৃষ্টিগোচর হয়।যার ফলশ্রুতিতে ‘২৪ ঘণ্টায় অ্যাকশন’ শুরু হয়ে যায়।
কিছুদিন পূর্বে তিনি রাজধানী ঢাকার কাঁটাবন মোড়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের একটি অসঙ্গতি তুলে ধরেন ফেসবুক লাইভে।পরবর্তীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট অথোরিটি সেই সমস্যাটির সমাধান করে দেন।ফলে,দীর্ঘ ছয় মাসের ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছে নগরবাসী।
এমনই আরেকটি সমাধান মিলেছে নরসিংদী হাইওয়েতে।অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করতে সেই মহাসড়ক দিয়ে। রাস্তার মধ্যখানে ডিভাইডার অথচ নেই কোন সিগন্যাল বা নির্দেশক চিহ্ন। উক্ত বিষয়টি যখন ব্যারিস্টার সুমনের নজরে আসে তখন তিনি সেখানে একটি ফেসবুক লাইভ দেন। পরবর্তীতে,২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘সিগন্যাল বা নির্দেশক চিহ্ন’ স্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট অথোরিটি ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা টু সিলেট মহাসড়কের পাশেই একটি পরিত্যক্ত বাস দীর্ঘদিন ফেলে রাখে বিআরটিসি। সেখানে ব্যারিস্টার সুমনের লাইভের পরপরই উক্ত স্থান থেকে পরিত্যক্ত বাসটি সৎকার করে পথচারীদের চলার ব্যবস্থা করে দেয় সংশ্লিষ্ট অথোরিটি।
ব্যারিস্টার সুমনের লাইভের বদৌলতে এ রকম অসংখ্য অসঙ্গতির সমাধান পেয়েছে বাংলাদেশ।তাঁর ফেসবুক লাইভ যেন ‘২৪ ঘণ্টায় অ্যাকশন’ এর ন্যায় কাজ করছে।এতে উপকৃত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ।তাই,ব্যারিস্টার সুমনের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সারা বাংলাদেশের মানুষ।ফলশ্রুতিতে,বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ‘ব্যারিস্টার সুমন’ যার ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।
© সাইফুল ইসলাম বিপ্লব।