
সাইফুল ইসলাম বিপ্লব,নিউজ ডেস্কঃ“এই ছেলে এইখানে কি,পড়ালেখা নাই?” প্রশ্নটা শুনে হয়তো ভাবছেন যে,এটা অবশ্যই কোন না কোন দায়িত্বশীল অভিভাবকের মুখ থেকে বের হওয়া হাহাকারের প্রতিচ্ছবি।হ্যাঁ ভাই, ঠিকই ধরেছেন।আদরের সন্তান যখন বিপথগামী তখন ঠিক এভাবেই দায়িত্বশীল প্রশ্নকর্তা হিসেবে প্রতিটা অভিভাবকগণ প্রিয় সন্তানের সামনে আবির্ভূত হয়।এখন হয়তো ভাবছেন যে,কেন এতো অভিভাবক অভিভাবক করছি।হ্যাঁ,কারন তো অবশ্যই একটা আছে।আচ্ছা,আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি।আদরের সন্তানের জন্য প্রতিটা দায়িত্বশীল অভিভাবকের মুখে সবসময়ই একটা স্বার্থহীন চিন্তার ছাপ পড়ে থাকে।কবির ভাষার সাথে সুর মিলিয়ে প্রতিটা দায়িত্বশীল অভিভাবক মনেপ্রাণে আল্লাহ্র কাছে বলতে থাকেন “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”।কিন্তু রক্তের সম্পর্ক নেই অথচ কোন একজন স্বার্থহীন মানুষ যদি নিয়মিতভাবে উপরোক্ত প্রশ্নটা বিপথগামীকে করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বিষয়টা বেশ কৌতূহলের জন্ম দেয়।যদি শুনি কোন এক ছাত্রনেতা অভিভাবকহীন সাধারণ ছাত্রদের নিয়মিতভাবে উপরোক্ত প্রশ্নটা করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের মনে বিষয়টা আরো বেশি কৌতূহলের জন্ম দিবে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ,“এরকম হাজারো কৌতূহলের রূপকার, ক্লিন ইমেজের বিকশিত ব্যক্তিত্ব,ছাত্রসমাজের অহংকার,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে গড়ে ওঠা ছাত্রনেতা,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূর্ত প্রতীক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী’র কথা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ‘গোলাম রাব্বানী’ তাঁর ছাত্রজীবনের প্রতিটি স্তরে মেধার ছাপ রেখে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন।মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তিনি।পরবর্তীতে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন।ছোটবেলা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল তাঁর গভীর ভালোবাসা।রাব্বানী তাঁর নানার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছেন।বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।তাই,ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম স্থান অর্জন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ‘গোলাম রাব্বানী’। রাজনীতিতে সম্পূর্ণ সক্রিয় থেকেও তিনি পড়াশোনাতে কখনো পিছিয়ে ছিলেন না।মেধার ছাপ রেখে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।তাই ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘গোলাম রাব্বানী’ সবসময়ই বলেন,“যারা পড়াশোনায় ভালো তাঁরাই ছাত্রলীগে অগ্রাধিকার পাবে।প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করে অবসর সময়ে ছাত্ররাজনীতি করবে।কোন বড় ভাই যদি তোমাদের কাউকে পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজনীতি করতে বলে তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে।তোমাদের বাবা মা অনেক কষ্ট করে তোমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছেন।তাঁদের সম্মান ও বিশ্বাস রাখতে হবে।মনে রাখবা, ছাত্ররাজনীতি ঐচ্ছিক,পড়াশোনা আবশ্যিক।”
বিশ্বায়নের যুগে মাঠের প্রতিযোগিতার সাথে মেধা মননের প্রতিযোগিতায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এগিয়ে নেবার দৃপ্ত শপথে বলীয়ান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ‘গোলাম রাব্বানী’।যিনি ছাত্রসমাজের কাছে নিজেকে একজন ছাত্রবান্ধব অভিভাবক হিসেবে আবির্ভূত করেছেন।যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসমাজকে নিজের আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন।অবশ্য অবাক হবার কিছু নেই কারণ গোলাম রাব্বানী’রা এমনই হয়।
নিঃসংকোচে বলতে পারি, এ যাবৎ কালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ‘গোলাম রাব্বানী’ ।তাঁর হাত ধরেই ফিরে আসবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হারানো গৌরব আর রচিত হবে এক নতুন ইতিহাস। স্বাধীনতা পরবর্তী ছাত্র রাজনীতির ক্যানভাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রদের মধ্যে তিনিও একজন।তাঁর হাত ধরেই ছাত্র রাজনীতি আবারো পূর্বের ন্যায় আপন গতিতে চলবে।যখনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী অশুভ শক্তি প্রিয় নেত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে,বিদ্রুপাত্মক স্লোগানে কলুষিত করেছে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস,আর ঠিক তখনই রুখে দাঁড়িয়েছে ‘গোলাম রাব্বানী’। ‘গোলাম রাব্বানী’ তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাদুকরী নেতৃত্ব,সৎ সাহস, প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর দারুণ দক্ষতার সমন্বয়ে দুস্কৃতিকারীদের দৃঢ় প্রত্যয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ।তিনি এমন রাজনীতি করেছে যেই রাজনীতির সাথে উৎপাদন,শিক্ষা ও মানবিক উন্নয়ন জড়িত।
ছাত্রলীগের একটা ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে দেশরত্ন ছাত্রলীগকে নিয়ে যেই দূরদর্শী চিন্তা করে নিজ দায়িত্বে কমিটি গঠন করার অভিপ্রায় করেছিলেন তা ছিল একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।তিনি যাকে সভাপতি ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে মনোনয়ন করেছে তাঁরা দুজনেই আজ নেত্রীর আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন।
‘গোলাম রাব্বানী’ তৃণমূল ছাত্রলীগের পরম আস্থার প্রতীক আর তুমুল জনপ্রিয় একজন ছাত্রনেতা।যখনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অযাচিত মিথ্যাচার করা হয়েছে তখনি তার প্রতিবাদী লেখনী আর ক্ষুরধার বক্তব্যের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।যখনি ছাত্রলীগে নানা হাত হয়ে সুবিধাবাদী নব্য হাইব্রীড ঢোকার চেষ্টা করেছে, তখনি অসংখ্য বাস্তব প্রমাণের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীধের সংগঠনে প্রবেশে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে,বিতাড়িত করেছেন ছাত্রদল-শিবির থেকে ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য আসা বহু অনুপ্রবেশকারী।সাহসী ও সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে তৃণমূলের লাখো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মন জয় করে আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে প্রমান করেছে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে।
যখনি রাজপথে বিএনপি-জামাত-ছাত্রদল-শিবির আন্দোলন এর নামে নিরীহ মানুষ হত্যার হলি খেলায় মেতেছে,অনৈতিক হরতাল অবরোধ এর নামে পেট্রোল বোমা আর ককটেল মেরে মানুষ পুড়িয়েছে,ছোট স্কুল শিশু-কলেজ ছাত্রের গায়ে আগুন দিয়েছে, অগ্নি স্ফুলিঙ্গ হয়ে জ্বলে উঠেছিল গোলাম রাব্বানী।বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের সাথে নিয়ে রাজপথেই প্রতিরোধ গড়েছেন। চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীদের হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়ে পুরষ্কৃত হয়েছেন,পুরষ্কারলব্ধ সে অর্থ ফের দান করেছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আগুনে পোড়া অসহায় মানবতার চিকিৎসার্থে।যখনি কোন অসহায় গরীব অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ভুগেছেন,মেধাবী হয়েও পড়ালেখার খরচ যোগাড় করতে ব্যর্থ,তখনি নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে।একদিকে যেমন নিজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন,অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছেন পাশে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ছাত্রলীগের কোন কর্মী যখন বিপদগ্রস্থ, অন্যায়-নিগ্রহের নির্মম শিকার,তখনি বীরের ভুমিকায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি।এমন বহু মানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছেন ভালোবাসার প্রিয়মুখ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইকন,‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ গোলাম রাব্বানী।
লেখক পরিচিতিঃ সাইফুল ইসলাম বিপ্লব,প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।