
নিউজ ডেস্কঃ মতিউর রহমান মতিন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুমন আহমেদ শান্ত বাবুর মাধ্যমে যুবলীগ শুরু করেছেন।এজন্য মতিউর রহমান মতিন তাঁর এলাকায় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী এই মতিন এবার আরো ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে।সে গাজীপুরের জোলারপাড় গ্রামের আনিসুল হকের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।সকালবেলা গ্রামের রাস্তায় শরীরচর্চা করার উদ্দেশ্যে আনিসুল হকের স্ত্রী বের হয়েছিলেন।গ্রামের রাস্তায় একা পেয়ে মতিন এই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালাউদ্দিন নামের এক লোকের বাসায় নিয়ে যান।সেখানে এই মহিলাকে ধর্ষণ করেন মতিন।এ সময়,অসহায় মহিলার চিৎকারে মানুষজন ছুটে এসে এই মহিলাকে মতিনের কাছ থেকে উদ্ধার করে।গ্রামবাসী হাতেনাতে মতিন এবং সালাউদ্দিনকে ধরে ফেলেন।তবে,মতিন তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা চালান।এখন মতিন উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই মতিন এখন কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তথ্য নিয়ে জানা যায় যে,মতিনের বাবা একজন রাজাকার ছিলেন।একাত্তরে মতিনের বাবা গণহত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।সেই সুবাদে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাঁর বাবা বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে বিপুল অবৈধ অর্থ অর্জন করেন।একাত্তরে তাঁর বাবার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ আছে।এজন্য,এলাকায় মতিনকে সবাই বেজন্মা বলে আখ্যা দিয়েছে। এছাড়া মতিন ফুয়াং গ্রুপের অস্ত্র মামলা,পাওয়ার ফিড লিমিটেডের মামলা,চাঁদাবাজি মামলা,ডাকাতির মামলাসহ ডজনখানেক মামলার আসামি এই মতিন।শান্ত বাবুর নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েকশত কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ এবং নানা খারাপ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মতিন জোরপূর্বক সাধারণ মানুষের জমি দখল করে দিনের পর দিন এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ এসেছে।সরকারি খাস জমি দখল করার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।এলাকায় তাঁর জবরদস্তিতে হাহাকার শুরু হয়েছে।তাঁর কারনে আওয়ামীলীগের অনেক বদনাম হচ্ছে। আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় জনগন এই সন্ত্রাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গাজীপুরের স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয় জনগন এই সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।মতিন অবিলম্বে গ্রেপ্তার না হলে তাঁর দ্বারা এলাকাবাসীর আরও ক্ষতি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।তাই,মতিঙ্কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।