
নিউজ ডেস্কঃ নব্য যুবলীগ নেতা মতিন কর্তৃক গৃহবধুকে ধর্ষণ করার হৃদয়বিদারক ঘটনাটি গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।বিএনপি থেকে সদ্য যুবলীগে যোগদান করা মতিন এখন গাজীপুরের কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ধর্ষণ করার পর ধর্ষিতার স্বামী জোলারপাড় গ্রামের আনিসুল হককে জোরপূর্বক তালাক দিতে বাধ্য করলো এই যুবলীগ নেতা মতিন। স্বামী আনিসুল হককে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মতিন।উক্ত ঘটনাটি নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না করে সেজন্য মতিন প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে না করেছে মতিন।মুখ খুললে হত্যার হুমকি দিয়েছে মতিন।মতিনের সাথে আরো কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সংশ্লিষ্টটা পাওয়া গেছে।সালেহ আহমেদ,হত্যা মামলার আসামী মনির,ফারুক এবং সফিজ উদ্দিন নামের কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীর সাথে হাত মিলিয়ে মতিন প্রভাব খাটাচ্ছে বলে জানা গেছে।
যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী এই মতিন গাজীপুরের জোলারপাড় গ্রামের আনিসুল হকের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।সকালবেলা গ্রামের রাস্তায় শরীরচর্চা করার উদ্দেশ্যে আনিসুল হকের স্ত্রী বের হয়েছিলেন।গ্রামের রাস্তায় একা পেয়ে মতিন এই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালাউদ্দিন নামের এক লোকের বাসায় নিয়ে যান।সেখানে এই মহিলাকে ধর্ষণ করেন মতিন।এ সময়,অসহায় মহিলার চিৎকারে মানুষজন ছুটে এসে এই মহিলাকে মতিনের কাছ থেকে উদ্ধার করে।গ্রামবাসী হাতেনাতে মতিন এবং সালাউদ্দিনকে ধরে ফেলেন।তবে,মতিন তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা চালান।এখন মতিন উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য নিয়ে জানা যায় যে,মতিনের বাবা একজন রাজাকার ছিলেন।একাত্তরে মতিনের বাবা গণহত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।সেই সুবাদে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাঁর বাবা বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে বিপুল অবৈধ অর্থ অর্জন করেন।একাত্তরে তাঁর বাবার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ আছে।এজন্য,এলাকায় মতিনকে সবাই বেজন্মা বলে আখ্যা দিয়েছে। এছাড়া মতিন ফুয়াং গ্রুপের অস্ত্র মামলা,পাওয়ার ফিড লিমিটেডের মামলা,চাঁদাবাজি মামলা,ডাকাতির মামলাসহ ডজনখানেক মামলার আসামি এই মতিন।শান্ত বাবুর নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েকশত কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ এবং নানা খারাপ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।